সোমবার দুপুরে পিরোজপুরের জেলা ও দায়রা জজ মো. আব্দুল মান্নান এ রায় দেন।
ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত ইদ্রিস জোমাদ্দার (২৩) জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার ঘোষের টিকিকাটা গ্রামের আশ্রাফ আলীর ছেলে।
নিহত স্কুলছাত্র ফয়সাল (০৮) উপজেলার একই গ্রামের বাদল জোমাদ্দারের ছেলে।
বাদী পক্ষের আইনজীবী খান মো. আলাউদ্দিন জানান, ২০১৪ সালের ২ ডিসেম্বর সকালে ফয়সালের মা টাকা তোলার জন্য মঠবাড়িয়া শহরের উত্তরা ব্যাংকে যায়। দুপুরে ফয়সাল স্কুল থেকে ফিরে বাড়ির মসজিদের সামনে খেলা করছিল।
“এ সময় আসামি ইদ্রিস ফয়সালকে ডেকে বাগানে নিয়ে যান। এরপর থেকে ফয়সাল নিখোঁজ হয়।”
ফয়সালের মা ব্যাংক থেকে ফিরে ছেলেকে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি করে। না পেয়ে পরিবারের লোকজন থানায় জিডি করেন।
৯ ডিসেম্বর বাড়ির পাশের বাগানের মধ্যে ফয়সালের লাশ দেখতে পায় এক প্রতিবেশী। এ ঘটনায় মা আসমা বেগম বাদী হয়ে ইদ্রিসকে সন্দেহভাজন আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
২০১৬ সালের ২১ ডিসেম্বর সিআইডির ইনেসপেক্টর ইউনুছ আলী ইদ্রিসের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন বলে জানান তিনি।